‘শোন, বাজার যাও, বাজার না করলে আজ খাবে কি?’ গাজর মুন্সীর সোজা কথা, ‘টাকা পয়সা কম, বেশী কিছু আনতে পাবো না।’ ব্যাগ নিয়ে গাজর মুন্সী বাজার যায়; এটা ওটা দাম করে কিন্তু সুবিধা করতে পারে না। বনে না, কি নিবে! শেষে কাঠাল বাড়ির কচু, মুলা আর মোগলবাসার বেগুন, করলা নিয়ে টাকা শেষ হয়। চিন্তায় পড়ে যায় বাকী খরচ কি দিয়ে নেবে। এক দোকানের বারান্দায় বসে গাজর মুন্সী একটা বিড়ি ধরায় দেদারছে টান আর ধোঁয়া ফুঁক। দোকানের কর্মচারী ধমক দেয়, ‘ওই মিয়া ভাগেন এখান থেকে, নিজে মরবে আবার অন্যকেও মারবে।’ গাজর মুন্সী ধরাস করে উঠে চলে যায় অন্য এক বারান্দায়। সুখ টান আর সুখ টান। বুদ্ধি আসে মাথায় দু’নম্বরী, দোকানে দোকানে যায় আর খরচ নিয়ে বলে, পাঁচশো টাকার ভাঙতি নাই, ভাঙতি করে দেই। এই বলে বলে ব্যাগ ভর্তি করে খরচ নেয়, আর সেই দোকানের ত্রি-সীমানায় যায় না। আলুর দোকানে যায়, আলু নিয়ে দোকানদার টাকা চায় গাজর মুন্সীর ঐ কৌশল আলুর দোকান ব্যাবসা ভালো খুচরা না থাকে? বরে, দ্যান খুচরা দেই। মুন্সী ভাবে, সর্বনাশ, এবার বিপদ। কৌশল খাটায়, থাকেন নোটখানা একটু ছেড়া আছে তো খুচরা করে আনি। এই বলে একটু আড়াল হয়ে ড্র হয়ে যাওয়া দশটাকার লটারী তিনখানা নোট এনে দেয়। আলুর দোকানদার ঝটপট নিয়ে রেখে দেয়, গাজর মুন্সী বলে, দুই টাকা ফেরত দেওয়া যায় না? না-না দেওয়া যাবে না। মুন্সী চলে যায়।
রাত্রের খাওয়া খেয়ে মুন্সী ঘুমায় গভীর ঘুম, আর স্বপ্ন দ্রাকে সে মারা যাওয়ার পর তার সুন্দরী স্ত্রী সুফিয়া অন্যের হাত ধরে চরে যাচ্ছে কোন এক অজানা জায়গায়। আর গাজরকে মুরগী-ছাগ্রলর গোস্তের মতোরড চালিয়ে কাবাব বানিয়ে লবন-কাঁচা মরিচ দিয়ে খাচ্ছে পাওনাদার দোকানদাররা। গাজর মুন্সী চমকে উঠে দেখে পাশে বউ নাই। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। বউ এসে বলে, কি হল কাঁদো কেনো তুমি? মুন্সী বলে, তুমি কোথায় গেছো বউ? ‘কেন, বাইরে’! এক কাজ করো, আমি খুব খারাপ স্বপ্ন দেখছি, তুমি আমার ঐ জমা টাকার থেকে পাঁচশো টাকা দাও। আর সকালে তাড়াতাড়ি ডেকে দিও বাজার যাইতে হবে।’ ‘কেন, বাজার কেন আবার?’ ‘জান না বউ, যে খাবার খাইছি, তা সব হারাম খাবার।’ ‘ধুর, খাবার আবার হারাম হয় নাকি?’ ‘হয় বউ হয়, কালকে কাউকেই খরচের টাকা দেই নাই।’ ‘হায় হায়, কয় কি মুন্সী? ইজ্জত কাবা।’ ‘না-না বউ, তোমার না, আমি কাবাব হইছি।’
গাজর মুন্সী গান ধরে-
কাঁচা বাজার আর চাউলের দাম
গা ঝড়িয়া বেড়াইল ঘাম
খালি হাতে খালি পাতে
ভাত খামো বাও সুধা ভাতে।
রাত্রের খাওয়া খেয়ে মুন্সী ঘুমায় গভীর ঘুম, আর স্বপ্ন দ্রাকে সে মারা যাওয়ার পর তার সুন্দরী স্ত্রী সুফিয়া অন্যের হাত ধরে চরে যাচ্ছে কোন এক অজানা জায়গায়। আর গাজরকে মুরগী-ছাগ্রলর গোস্তের মতোরড চালিয়ে কাবাব বানিয়ে লবন-কাঁচা মরিচ দিয়ে খাচ্ছে পাওনাদার দোকানদাররা। গাজর মুন্সী চমকে উঠে দেখে পাশে বউ নাই। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। বউ এসে বলে, কি হল কাঁদো কেনো তুমি? মুন্সী বলে, তুমি কোথায় গেছো বউ? ‘কেন, বাইরে’! এক কাজ করো, আমি খুব খারাপ স্বপ্ন দেখছি, তুমি আমার ঐ জমা টাকার থেকে পাঁচশো টাকা দাও। আর সকালে তাড়াতাড়ি ডেকে দিও বাজার যাইতে হবে।’ ‘কেন, বাজার কেন আবার?’ ‘জান না বউ, যে খাবার খাইছি, তা সব হারাম খাবার।’ ‘ধুর, খাবার আবার হারাম হয় নাকি?’ ‘হয় বউ হয়, কালকে কাউকেই খরচের টাকা দেই নাই।’ ‘হায় হায়, কয় কি মুন্সী? ইজ্জত কাবা।’ ‘না-না বউ, তোমার না, আমি কাবাব হইছি।’
গাজর মুন্সী গান ধরে-
কাঁচা বাজার আর চাউলের দাম
গা ঝড়িয়া বেড়াইল ঘাম
খালি হাতে খালি পাতে
ভাত খামো বাও সুধা ভাতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন